ফরাসী ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ফরাসী ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ফরাসী
ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবার দেখা যাক ফারসী ধর্মে
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কি বর্ণিত হয়েছে।
জরথুষ্ট হলেন এ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। এটাকে পারসিজমও বলা হয়। এটার উৎপত্তি হয়েছে
আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে পারসিয়াতে। এ পিরসিমজকে আরো বলা হয় মেগিয়ানিজম অথবা যে ধর্মের
অনুসারীরা অগ্নি পূজা করে। পারসিদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ হলো দশাতির এবং আভেস্তা। আভেস্তাকে আবার
জেন্দ আভেস্তাও বলা হয়। দশতির দুই ভাগ। ক্ষুরধা দশাতির ও করণ দশাতির। আভেন্তারও
আবার দুই ভাগ, ক্ষুরধা আভেন্তা ও করণ আভেস্তা। অনেকে এগুলোকে বলে জেন্দ বা মহাজেন্দ। আপনারা যদি
এই পারসি ধর্মগ্রন্থ পড়েন, সেখানে অনেক জায়গাতেই দেখবেন নবীজি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা বলা আছে। | জে
আভেস্তার নফারভাস্তি ইয়াস্তের ২৮ অধ্যায়ের ১২৯ অনুচ্ছেদে আছে-তার নাম হবে
আস্তাবেদ আরো অর্থাৎ জয়যুক্ত। তার আরেকটা নাম হবে সোশিম । বলা হয়েছে যে তাকে এখানে ডাকা
হবে সোশিম। আমরা জানি নবীজি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ জিতেছিলেন, অনেক যুদ্ধ
জিতেছিলেন তাই তিনিই আস্তাবেদ আরেতা। ইতিহাসের বিশ্ব কোষের কথা অনুযায়ী সোশিয়েনথ অর্থ যে লোক প্রশংসার যোগ্য বা যে প্রশংসা করেছে। যার আরবি করলে
হবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । তাহলে পারসি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম বর্ণিত হয়েছ। এর পরে বলা হয়েছে
তিনি হবেন আস্তবেদ আরেতা। এর মানে হলো প্রশংসাকারী। এটা নবীজি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আরেকটা নাম আহমাদ। আহমাদ শব্দের অর্থ যে প্রশংসা করে ।
জেন্দ
আবেস্তার জামিয়াধ ইয়াস্তের ১৬ অধ্যায়ের ৯৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে তার বন্ধু চলে
আসবে। অর্থাৎ, আস্তবেদ আরেতার বন্ধুরা। তারা শয়তানের
বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তারা চিন্তা ভাবনা করবে, ভাল কথা বলবে, ভাল কাজ করবে আর তাদের জিহবায় কোন
মিথ্যা থাকবে না। এখানে নবীজি সাহাবীগণের কথা বলা হচ্ছে।
এখানে
সাহাবীদের কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ নবীজি (স) এর সহচরেরা, তারা ভাল মানুষ হবে। তারা চিন্তা
ভাবনা
করে কাজ করবে, ভাল
কথা বলবে, ভাল
কাজ করবে তাদের জিহবায় মিথ্যা থাকবে না অর্থাৎ তারা মিথ্যা কথা বলে না। আর আমরা
জানি সাহাবিগণ সর্বদা সত্য কথাই বলতেন।
দশাতিরেও
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী আছে। এটা পরসিদের
আরেকটা ধর্ম গ্রন্থ। দশাতির মানে দশ, আর তিরমান খল্ড অর্থাৎ যে বইটার দশটা ভাগ আছে। এটা
দস্তুর শব্দের বহুবচন আর এর ধর্মীয় আইন। অর্থাৎ এ বইটাতে দশটা ভাগ আছে আর এটা
ধর্মীয় আইন। দশাতিরে উল্লেখ আছে- পারসিরা যখন তাদের ধর্ম ত্যাগ করবে, যখন
তারা নিঃসঙ্গ হয়ে যাবে, তখন মরুভূমি থেকে একজন লােক আসবে তার অনুসারীরা
পারসিদের বশে আনবে। আর তারা পারসিদের রাজ্য জয় করবে। তারা মানব জাতির জন্য একটা
অনুগ্রই হবে। তারা তাদের মন্দিরের ভেতর অগ্নি পূজা করবে না। তারা ইবরাহীমের
ঈশ্বরের ঘরের দিকে মুখ
বিভিন্ন
ধর্ম গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ (সা) করে প্রার্থনা করবে। তারা কখনো
মূর্তি পূজা করবে না। তারা পারসিয়ার প্রভু ও শাসক হবে। এছাড়াও তারা পারসিয়ার
অন্যান্য ধর্মীয় স্থানেও রাজত্ব করবে।
তাদের
নবী খুব যুক্তিবাদী হবেন আর অলৌকিক কাজ করবেন। এ ভবিষ্যত বাণী আমাদের নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথাই বলেছেন।
বুন্দাহিসোর ৩০ অধ্যায়ের ৬-২৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সোশিয়েন হবেন শেষ নবী। এটার অর্থ হলো
প্রশংসনীয় অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর এখানে উল্লেখ
রয়েছে যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হবেন শেষ নবী। এটা হলো সংক্ষেপে পারসী ধর্মগ্রন্থগুলোতে আমাদের নবীজির বর্ণনা।
No comments